কাম ব‍্যাক টাটা - পোষ্টার হাতে জমিতে নামলেন চাষীরা : শিল্প স্থাপনের আবেদন স্থানীয়দের

4th January 2021 8:44 am হুগলী
কাম ব‍্যাক টাটা - পোষ্টার হাতে জমিতে নামলেন চাষীরা : শিল্প স্থাপনের আবেদন স্থানীয়দের


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  সিঙ্গুর মানেই জমি আন্দোলন । এই সিঙ্গুরেই টাটা প্রকল্পের বিরোধিতা করে এবং চাষীদের জমি চাষযোগ্য করে ফেরতের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। টানা অনশনের পথে সেই সময় অন্য আন্দোলনের ছবি দেখেছিল সিঙ্গুর তথা বাংলার মানুষ। রাজ্যে বাম সরকারের পতন ও পালাবদলের অন্যতম আন্দোলন হিসাবে পরিচিত এই সিঙ্গুরের কৃষি জমি আন্দোলন। এরপর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর।এখন সেই সিঙ্গুরকেই প্রধান টার্গেট করে এগোতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।সিঙ্গুরে বারবার ছুটে আসছে বিজেপি দলের নেতারা। বিজেপি দাবি জানাচ্ছে সিঙ্গুরে আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু এখানে না হচ্ছে জমিতে চাষ আর না এখানে এসেছে অন্য কোন শিল্প। তাই রাজ্যের বেকার সমস্যাকে হাতিয়ার করে সিঙ্গুরকেই বেছে নিচ্ছে বিজেপির নেতৃত্ব। সিঙ্গুরে সভা করে শিল্প ও টাটা প্রকল্পকে ফেরানোর কথা জানিয়েছেন মুকুল রায়,লকেট চ্যাটার্জীরা।মুকুল রায় টাটা প্রকল্প ফেরানোর জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবে বলেও জানিয়েছেন। আবার  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সিঙ্গুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব করার কথা জানিয়েছেন। এবার সেই সিঙ্গুরের মানুষ আওয়াজ তুলছে নতুন শিল্পের দাবিতে। সিঙ্গুরের চাষীরা সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পকে আবার ফেরানোর দাবিতে পোস্টার হাতে নামলো চাষের জমিতে। চাষীদের অভিযোগ  সিঙ্গুরে ফেরত জমিতে না হচ্ছে চাষ,  না হচ্ছে শিল্প। তাই অবিলম্বে সিঙ্গুরে টাটা বা অন্য যে কোন বড় শিল্প ফেরানোর দাবিতে পোস্টার হাতে মাঠে নামছে সিঙ্গুরের বহু চাষী। এসবের পরে আগামী বিধানসভা ভোটে সকলের চোখ যে সিঙ্গুরের দিকে থাকবে তা বলাই যায়। নির্বাচনের আগে শাসকদল এবং বিরোধীদল গুলো সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করে লড়তে চাইছে। এমইটাই মত রাজনৈতিক মহলের।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।